মার্চেও শেষ হয়নি সুরমা সেতুর কাজ ১০ লক্ষাধিক মানুষের দূর্ভোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ইং, ২:৫৯ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১২৩৭ বার পঠিত
জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া,তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে::প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষিত মার্চ ও শেষ হয় নি সুনামগঞ্জের সুরমা সেতুর কাজ। শুধু অহবেলা,প্রত্যাশা ও প্রতিশ্রুতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে সুনামগঞ্জের উন্নয়ন। একটি মাত্র ব্রীজের কারণে জেলার সদরের সাথে ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা হচ্ছে না ৪টি (তাহিরপুর,বিশ্বাম্ভরপুর,জামালগঞ্জ,মধ্যনগড়,ধর্মপাশা) উপজেলাবাসী। যার ফলে ক্ষোভ বিরাজ করছে ১০ লক্ষাধিক জনসাধারনের মাঝে। সুরমা সেতুর মাঝ অংশের সংযোগ দিতে ও ব্রীজের কাজ দ্রুত শেষ করতে মার্চ মাসে যানবাহন চলাচল ও সর্ব স্তরের জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করার ঘোষনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার পরও টনক নড়নি কর্তৃপক্ষের ধীর গতিতেই চালিয়েছে নিমার্ন কাজ। ফলে প্রধান মন্ত্রীর ঘোষিত মার্চে শেষ হয় নি সুরমা সেতুর নির্মান কাজ। চীন থেকে ষ্ঠিল ট্রাসগুলো ও প্রয়োজনীয় নির্মান সামগ্রী আনা হয়েছিল নিদিষ্ট সময়ে। সেতুর মাঝের সংযোগ দিতে সেতু নিমানের কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও অবহেলার কারণে এ বছরও হবে না বলে মনে করছেন জেলা সদরে আসা বিভিন্ন স্থরের জনসাধারন। আর সে কারনে ফুসে উঠছে চারটি উপজেলাবাসী ও সুনামগঞ্জ জেলাবাসী। সুনামগঞ্জের সুরমা নদীতে ৮বছর পেরিয়ে গেলেও ব্রীজের নির্মান কাজ শেষ হয় নি। এ নদীতে ব্রীজের কাজ সম্পন্ন হলে জেলা সদর থেকে সরাসরি সড়ক পথে বিশ্বাম্ভরপুর,জামালগঞ্জ,তাহিরপুর হয়ে মধ্যনগর,ধর্মপাশা উপজেলাবাসীর মাঝে উন্নয়নের এক প্রকার জোয়ার বইবে। আর যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে একটি এলাকা,সমাজের উন্নয়ন ও দেশের সমৃদ্ধির প্রতিপলন গঠে। যার ফলে এই ব্রীজটির উপর নির্ভর করছে ৪টি উপজেলার হাজার হাজার জনসাধারন আশায় বুক বেঁধে আছে। তাই সুরমা নদীর উপর নির্মানাধীন ব্রীজ টি দ্রুত শেষ করার দাবী জানান সুনামগঞ্জ জেলাবাসী। সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগ সুত্রে জানাযায়-২০০৫ সারে ১অক্টোবর সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর উপর সেতু নির্মানে ২ কোটি ৫৯লাখ ৬০হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। বরাদ্ধের পর ২০০৬-৭ অর্থ বছরে সুনামগঞ্জ শহর সংলগ্ন মল্লিকপুর এলাকায় ১১৫ মিটার দৈঘ্য বিশিষ্ট সুরমা সেতুর কাজ শুরু করা হয়। অর্থ সংকটের অজুহাতে ৩বছর নির্মান কাজ বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে সুনামগঞ্জের দু-এমপি ও জেলার সর্বস্তরের জনমাধারনের দাবীর মুখে আবারো এডিপিতে সুরমা সেতু প্রকল্পটি অর্šÍভুক্ত করা হয়। এর ব্যয় ধরা হয় ৬৪কোটি ৫৪ লাখ টাকা। বরাদ্ধের পর একাধিক ঠিকাদারী প্রতিষ্টান ৬বছরে সেতুর পাইলিং ও দু-পাশের সংযোগ মাটির কাজ শেষ করে। বাকি থাকে সেতুর মাঝের সংযোগ। এই সংযোগ দিতে চলছে নানা টালবাহানা। তাহিরপুর,বিশ্বাম্ভরপুর,জামালগঞ্জ সহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে জেলা সদরে আসা লোকজন বলেনÑআমরা জনসাধরনের সুযোগ-সুবিধার কথা কেউ ভাবছে না। প্রধান মন্ত্রী বলে মার্চের মধ্যে শেষ করার জন্য আর নিমার্ন কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলে ভিন্ন কথা,আমরা এখন ফাটা বাঁশের চিপায় পড়ে আছি।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন-শুষ্ক মৌসুমে নিমার্ন কাজ শেষ করতে না পারলে বর্ষায় পাহাড়ী ঢলে পানির চাপের কারণে কাজ করতে পারবে না।
জেএন (জেভি) নির্মাতা প্রতিষ্টানের মালিক লুৎফুর রহমান জানান- নির্মান কাজ শেষ করতে আরো সময় লাগবে।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপদ (সওজ) এর উপ সহকারী প্রকৌশলী মহসিন আহমেদ জানান-আমরা দ্রুত নির্মান কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি। আগামী জুন মাসের মধ্যে সুনামগঞ্জের সুরমা সেতুর কাজ সম্পূর্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।