বিশ্বনাথে গ্রীষ্মকালিন ফলে ভরপুর, বিশেষজ্ঞরা বলছেন স্বাস্থ্যঝুকি?
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০২৪ ইং, ১০:১৩ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১৫০ বার পঠিত
জামাল মিয়া,বিশ্বনাথ
সিলেটের বিশ্বনাথে হাট-বাজারে গ্রীষ্মকালিন ফল আসতে শুরু হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি হাটে-বাজারের বাতাসে এখন মৌসমে ফলের সুগ্রাণ। সারা দেশের ন্যায় বিশ্বনাথে বিভিন্ন হাট-বাজারে এসব ফলে চেয়ে গেছে। ফলের ব্যবসায়ীরাও বৈচিত্রভাবে পসরা সাজিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায়। কিন্তু বাজারে ক্রেতা থাকলেও দামের মাত্রা বেশি হওয়ায় অনেকে খালি হাতে ফিরতে দেখা গেছে। মধ্যবিত্ত লোকের এসব গ্রীষ্মকালিন ফল ক্রয় করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।
অপর দিকে নুন আনতে পান্তাপুরায় নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি লোক এসব ফল ক্রয় করতে পারছে না। চড়া দামের ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ ফল খেতে বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলার গ্রামগুলোর এক সময় প্রায় সব বাড়িতে ছিল বিভিন্ন ফলের গাছ। কিন্তু এসব ফলের গাছ সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে তালমিলিয়ে হারিয়ে যেতে বসেছে। যেগুলো আছে তেমন ফল আসেনা। গ্রাম যখন ফলে পরিপূর্ণ ছিল তখন গ্রামের নিম্ন আয়ের লোক সব ধরনের ফল খেতে পারছে,তখন পুষ্টিগত বা ভিটামিন সম্পর্কিত রোগ ছিলনা বলেই চলেই।
এলাকার সচেতন মহল মনে করেন, ফলের বাজার স্থিতিশীল হলে সব শ্রেণীর লোক ফল ক্রয় করে খেতে পারবে। বর্তমানে বাজারে আসা ফলগুলো দেখতে বেশ চকমক কিন্তু এসব ফল বাহিরে দেখতে আকর্ষনীয় হলেও ভিতরে রয়েছে বিষাক্ত রাসায়নিক বিষ। মোনাফালোভী এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করে পাঁকাচ্ছে এসব ফল। ফল যাতে বেশিদিন তাজা থাকার জন্য ব্যবহার করা হয় রাসায়নিক ‘ইথোফেন’ এবং স্থায়ীত্বের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে ‘ক্যালসিয়াম কারবাইট’ এবং ‘ফরমালিন’। ফলগুলো বাজারজাত ও ব্যবহারকারীরা শক্তিশালী সিন্ডিকেট এখন সক্রিয়।
পৌর শহরের পুরানবাজার ও নতুনবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আম প্রতি কজি ২০০-৩০০ টাকা, কাঁঠাল ৩০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা, লেচু প্রতি আঁটি ২০০-৩০০ টাকা, তরমুজ ২৫০-৪০০ টাকা, আনারস হালি ৩২০-৪০০টাকা বিক্রি হচ্ছে।
ফল ব্যবসায়ী রাজন মিয়া বলেন, এ সব ফল বেশিরভাগ শ্রীমঙ্গল ও উত্তরবঙ্গ থেকে আসে। বেশি দামে ফলগুলো ক্রয় করে আনি, কম দামে বিক্রয় করার কোনো সুযোগ নেই।
বেশ কয়েকজন ক্রেতা বলেন,এবারে মৌসুমের ফলের দাম বেশি। তাই ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এসব ফলে ফরমালিন রয়েছে।
স্থানীয় চিকিৎসক শিবলী খান বলেন, ফল কেনার সময় তা ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য মিশানো কি না, তা যাচাই বাচাই করে কেনা। তা না হলে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। আর বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে যদি কোনো ধরনের ফল পাকানো হয় তবে তা মানব জীবনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।
ফরমালিন যুক্ত ফলের ব্যাপারে কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকতা ডাঃ দেলোয়ার হোসেন সুমন বলেন, এসব ফল খেলে মানুষের পেটের অসুখ হতে পারে। পেটের অসুখ নিয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এমনকি ক্যানসারও হতে পারে। এসব ফল না খাওয়াই ভালো।