বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাচন “চায়ের টেবিলে নির্বাচনের ঝড় বইছে”
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ মে ২০২৪ ইং, ১২:০৭ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১০৭ বার পঠিত
জামাল মিয়া,বিশ্বনাথ
আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সিলেটের প্রবাসী অধ্যুষিত বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আগামী ৮মে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করতে উপজেলা পরিষদের ‘চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান’ পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন (১৫ এপ্রিল) পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ‘আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত’ সমর্থিত ২০ জন প্রার্থী। এর মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিজের মনোনয়পত্র প্রত্যাহার করে নেন উপজেলা জামায়াতের আমির নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী।দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছন তাদের ৫ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি- ‘চেয়ারম্যান’ পদে ‘কৈ মাছ’ প্রতীকের প্রার্থী বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক গৌছ খান ও ‘দোয়াত-কলম’ প্রতীকের প্রার্থী যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ‘প্রজাপতি’ প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম স্বপ্না শাহীন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ‘তালা’ প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাওছার খান ও ‘চশমা’ প্রতীকের প্রার্থী উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব সরকার। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতায় থাকা ১৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮ জনই হচ্ছেন ‘যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র’ প্রবাসী।আগামী ৮ মে উপজেলায় ১ লাখ ৮৮ হাজার ৩৭ জন (পুরুষ ৯৭ হাজার ৬ জন ও মহিলা ৯১ হাজার ৩১ জন) ভোটার ৭৪টি ভোট কেন্দ্রে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে আগামী ৫ বছরের জন্য নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদেরকে ‘উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান’ পদে নির্বাচিত করবেন। উপজেলা নির্বাচনে সিলেটের বিশ্বনাথে চায়ের টেবিল এখন নির্বাচনী আলোচনায় ঝড় বইছে। প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরপরই উপজেলায় নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করে। নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ফলে কারা এ নির্বাচনে অংশগ্রহন করছেন কেবল এখন দেখার বিষয়। তারপরও ঘরে বসে নেই নির্বাচনের প্রার্থীরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জমে না উঠলেও উপজেলা নির্বাচন পুরো দমনে জমে উঠতে বসেছে। গরমের মধ্যেও নির্বাচনে চেয়ারম্যানদের প্রচারনা থেমে নেই। প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যেতে দেখা যায়। গভীর রাতভর তারা তাদেও প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় চায়ের টেবিলে চলছে এখন নির্বাচনী আলাপ-আলোচনা। ভোটারা প্রার্থীদের নিয়ে হিসাব-নিকাশ করছেন। তবে আওয়ামীলীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ফারুক আহমদ ও সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও বাজারে অবস্থিত প্রায় প্রতিটি চায়ের দোকানে আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা করতে দেখা যায়। নির্বাচনের প্রার্থীদের নিয়ে চলছে বিভিন্ন মন্তব্য। তবে এ এবারের নির্বাচনে তাদের মধ্যে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে বলে ভোটাদের সাথে কথা বলে জানাযায়। তবে কে হবেন উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তার জন্য আগামী ৮ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বিশ্বনাথ পৌরশহরের চায়ের দোকান মালিক জুমন ও ইদ্রিছ মিয়া বলেন, গত দুইদিন ধরে চা বিক্রি বেড়ে গেছে। অনেকেই চা খাওয়ার সময় উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত থাকেন। প্রার্থী নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক-বির্তক হতে দেখা যায়। উপজেলার ভোটার শাহিন মিয়া, মতিন মিয়া, নুরুল ইসলাম বলেন, বিগত সংসদ নির্বাচন না জমলেও এবার উপজেলা নির্বাচন জমে উঠেছে। প্রার্থীদের নিয়ে এলাকাবাসি এখন থেকে হিসাব-নিকাশ শুরু করছেন। আমাদের এলাকার প্রতিটি চায়ের দোকান ভোটের ঝড় উঠছে। গত দুইদিন ধরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা। যারা সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে কেন্দ্র যাননি। তারাও এখন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বনালী চক্রবর্তী ডেইলি বিশ্বনাথ কে বলেন,এ উপজেলায় আমার এটা প্রথম নির্বাচন, নির্বাচন অবাদ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে। এখন পর্যন্ত কোন কেন্দ্র ঝুঁকিপুর্ন নেই বলে তিনি জানান।