মাঠে নেই, ফেসবুকে পাওয়া যাচ্ছে বিশ্বনাথে আ.লীগ নেতাদের
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ইং, ১০:২৫ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৪১০ বার পঠিত
মোহাম্মদ আলী শিপন:: গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বেশিরভাগ আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতারা আত্মগোপনে চলে গেছেন। তবে, তাদের কেউ কেউ ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব রয়েছেন। ঈদুল ফিতরেও দেখা যায়নি প্রভাবশালী কোনো আওয়ামী লীগ নেতাকে এলাকায়। অনেক নেতাকে এবার পরিবার ছাড়াও ঈদ উদযাপন করতে হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে মাঠ ছাড়া রয়েছেন আ.লীগ নেতারা।
জানা গেছে, বিশ্বনাথে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের একচ্ছত্র দাপটে গত সাড়ে ১৬ বছর বিএনপিসহ অন্যান্য দলের নেতা-কর্মীরা মাঠেই দাঁড়াতে পারেননি। বিচ্ছিন্ন কিছু দলীয় কর্মসূচি পালনের বাইরে অনেকটা অনলাইনভিত্তিক সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। তবে ৫ আগস্টের পর পাল্টে গেছে এলাকার দৃশ্যপট। গত ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মীকেই আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। রাজনীতির মাঠ দখলে নিয়েছে বিএনপি ও জামায়াত। শুরুতেই গা-ঢাকা দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। তৃণমূলের কর্মীরাও এখন মামলায় ‘অজ্ঞাতনামা’ আসামি হওয়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। যদিও আত্মগোপনে থাকা নেতা-কর্মীর একাংশ ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব রয়েছেন। ৪ আগস্ট দুপুরের জামায়াত নেতার ওপর হামলার ঘটনা ও পৌর শহরের আল হেরা শপিং সিটি ভাঙচুর দুটি মামলা থানায় দায়ের করা হয়। আর এ দুটি মামলায় আ.লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী আসামি রয়েছেন। এ দুটি মামলায় অনেকেই জেলে রয়েছেন আবার অনেকেই জামিনে বের হয়ে এসেছে। জামিন নিয়েও তাদের মধ্যে বেশিরভাগই আত্মগোপনে রয়েছেন। আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারাও এখন লাপাত্তা।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়াতে তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা ঘরছাড়া। তারা নিজেদের গোপন রাখার চেষ্টা করছেন। ইউনিয়ন থেকে শুরু করে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম সাজুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বৃহত্তর এশিয়া মহাদেশের সব চাইতে জনপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএন’পি ও সহযোগি সংগঠন ছাত্রদল-যুবদল ও সেচ্ছাসেবক দল সৈরাচার হাসিনা ১৭ বছর ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আমার বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলার কর্মসূচি ও প্রিয় নেতা এম ইলিয়াস আলীর গুমের প্রতিবাদ কর্মসূচি পুলিশী ভয় অপেক্ষা করে বিশ্বনাথের রাজপথেই পালন করেছি ! আজ সৈরাচার হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তাদের দলীয় অবস্থান তো দূরের কথা নিজ ও নিজের পরিবারের অবস্থান অনেক নেতা জানেন না বর্তমানে কোথায়?
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদের মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি ডেইলি বিশ্বনাথ ডটকম কে বলেন, এলাকায় আইনশৃংখলার অবহিত। ‘এখন মিথ্যা মামলা দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কেই ঘরছাড়া দলের নেতা-কর্মীরা।’
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া বলেন, বিশ্বনাথে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে শুরু থেকেই বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মাঠে সোচ্চার রয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা নিজেদের কৃতকর্মের ভয়ে আত্মগোপনে থাকছেন। অপরাধের বিচার আইন-আদালতের বিষয়। বিএনপি কাউকে হামলা কিংবা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে না।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।