বিশ্বনাথে জমি ক্রয় বিক্রয় কমে গেছে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ মার্চ ২০১৫ ইং, ৯:২৮ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১৩৪৬ বার পঠিত
মোহাম্মদ আলী শিপন ও অসিত রঞ্জন দেব::প্রবাসী অধ্যষিত এলাকা হিসেবে পরিচত সিলেটের বিশ্বনাথ। এ উপজেলার বেশীরভাগ মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্ব-পরিবারে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু বর্তমানে এলাকা প্রবাসীরা না আসায় জমি ক্রয় বিক্রয় অনেকটা কমে গেছে। এতে উপজেলায় জমি ক্রেতা বিক্রেতা নেই বলেই চলে। তবে উপজেলার কিছু কিছু জায়গায় জমি বিক্রয় করার জন্য বিক্রেতা তার জমির ওপর লাগিয়ে দিয়েছেন সাইন বোর্ড। এতে জমি ক্রয় করার জন্য যোগাযোগের জন্য দেয়া হয়েছে মোবাইল নাম্বার। ক্রেতা না থাকায় মাস পর মাস এভাবে জমির মধ্যে সাইন বোর্ড পড়ে আছে। জমি ক্রয় বিক্রয় না হওয়ায় সরকার বিপুল সংখ্যা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে এলাকার দলিল লেখকসহ সংশ্লিষ্টরা রয়েছে বিপাকে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, প্রবাসীরা দেশে না আসায় জায়গা জমি ক্রয়-বিক্রয় আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। প্রবাসীরা আগে বাসা-বাড়ি নির্মাণ করার জন্য দেশে এসে জমি ক্রয় করতেন। বর্তমানে তা আর দেখা যায়নি। বিগত পাঁচ বছর পূর্বে এলাকায় যেভাবে জমি ক্রয় বিক্রয় হয়েছে তা এখন আর নেই। আগে যেখানে রাস্তা পাশে থাকা প্রতি ডিসিমিল জমি বিক্রয় হত প্রায় ৬-৭ লাখ টাকায়। বর্তমানে এর অর্ধেক দামে জমি বিক্রয় করা সম্ভব হচ্ছেনা। অনেকেই জমি বিক্রয় করতে চাইলেও ক্রেতা পাচ্ছেনা। তবে এলাকার অনেক প্রবাসী দেশে না থাকায় আত্বীয় স্বজনদের তাদের অপ্রয়োজনীয় জমি বিক্রয় করার জন্য বলে আসছেন। কিন্তু দেশে তাকে তাদের আত্বীয় স্বজনরা জমি বিক্রয় করতে পারছেনা। এলাকার বিত্তবানরাও জমি ক্রয় করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। ফলে অনেকেই জমি বিক্রয় করতে না পারায় পড়েছেন বিপাকে।
এব্যাপারে প্রবাসী ইসবর আলী বলেন, প্রায় এক বছর ধরে দেশের আত্বীয় স্বজন কে নিজের জমি বিক্রয় করার জন্য বলে আসছি। কিন্তু তারা জমি বিক্রয় করতে পারছেনা বলে তিনি জানান।
নোয়াগাঁও গ্রামের রুহেল মিয়া বলেন, নিজ প্রয়োজনে কিছু জায়গা বিক্রয় করার জন্য চেষ্টা করি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ক্রেতা পাচ্ছিনা।
উপজেলার দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজিদ আলী ডেইলি বিশ্বনাথ ডটকম কে বলেন, সরকারকৃত জমির বেলু বেশী থাকায় এবং জমির নামজারী করার সময় স্থানীয় ইউপি তশিল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী গাফলাতি রয়েছে। ফলে জমি বিক্রয় আগের চেয়ে অনেকটা কমে গেছে।
উপজেলার সাব রেজিষ্টার আবদুল হক বলেন, আগের তুলায় বর্তমানে জমি ক্রয়-বিক্রয় অনেক কম হচ্ছে।