প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করলেন এসআই
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জুলাই ২০১৫ ইং, ৯:১০ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১৮৫১ বার পঠিত

এলাকাবাসী ভাষ্যমতে, শনিবার দুপুরে কুমারখালী থানার এসআই কাফী পুলিশের ইউনিফর্ম ছাড়া নন্দলালপুর গ্রামের মৃত গফুরের পুত্র আব্দূল মতিনের বাড়িতে যান ওয়ারেন্টের আসামি হিসাবে মতিনকে গ্রেফতার করতে। এসময় তার পরিবারের সদস্যরা এসআই কাফীকে অবহিত করেন মতিন বিদেশে অবস্থান করছে। এর এক পর্যায়ে জিজ্ঞাবাদের নামে ঘরের ভেতর মতিনের স্ত্রীকে একা পেয়ে এসআই কাফী ঘরে ভেতর ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেন। এসময় ওই মহিলা চিৎকার করলে স্থানীয়রা জড়ো হয়। পরে স্থানীয়রা কুমারখালী থানা পুলিশকে খবর দেয়। কুমারখালী থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আরিফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের নিকট মাফ চেয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এব্যাপারে পুলিশের ভয়ে ভুক্তভোগীরা কোন কথা বলতে না চাইলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, এসআই প্রবাসীর স্ত্রীর শ্লীলতাহানী করার চেষ্টা করেন এবং চরিত্র নিয়ে বাজে কথা বলেন।
কুমারখালী থানার এসআই আরিফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে আমি কাফীকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। ঘটনা তেমন কিছু না।
এবিষয়ে অভিযুক্ত এসআই কাফী’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি ওই বাসায় গেলে তারা আমাকে বারান্দায় বসতে দেয়। এসময় আরো দুইজন মহিলা বারান্দায় ছিল। মতিনের বউ ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে ছিল। আমি তাকে তার স্বামীর ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য উঠে দাঁড়ালে সে ঘরের ভেতর ডেকে নেয়। পরে দরজা আটকিয়ে চিৎকার করে নাটক করে। তিনি আরো বলেন, আমি অন্যায় কিছু করিনি। স্থানীয় কিছু মানুষ আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে।
কাফী অভিযোগ করেন, স্থানীয় কয়েকজন যুবক এসময় তাকে লাঞ্ছিত করে এবং স্থানীয় সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তাকে অপমান করেছে।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মহিবুল ইসলাম বলেন, কাফী মানসিক অসুস্থ। আজ তার কোন ডিউটি ছিল না। সে নিজের মত করে বের হয়ে চলে গেছে। প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে উঠে দরজা বন্ধ করেছিল তবে ওই নারীকে অসম্মান করার মত কোন ঘটনা ঘটেনি। কাফীর মা তাকে নিতে এসেছে, তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হবে। পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম জানান, কাফীতো মেন্টাল পেশেন্ট। ওকে নিয়ে আমরা বিব্রত।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মহিবুল ইসলাম বলেন, কাফী মানসিক অসুস্থ। আজ তার কোন ডিউটি ছিল না। সে নিজের মত করে বের হয়ে চলে গেছে। প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে উঠে দরজা বন্ধ করেছিল তবে ওই নারীকে অসম্মান করার মত কোন ঘটনা ঘটেনি। কাফীর মা তাকে নিতে এসেছে, তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হবে। পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম জানান, কাফীতো মেন্টাল পেশেন্ট। ওকে নিয়ে আমরা বিব্রত।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার গ্রেফতার ভয় দেখিয়ে নৈশকোচের এক যাত্রীর কাছ থেকে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠে কুমারখালী থানার এসআই কাফীর বিরুদ্ধে।
উপজেলার শিলাইদহ বেলগাছি গ্রামের আমির ব্যাপারীর ছেলে সিরামিক ব্যবসায়ী উজ্জল(২৫) এবিষয়ে থানায় ডায়েরী দিতে ব্যর্থ হয়ে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিমর সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ করেছিল।
উপজেলার শিলাইদহ বেলগাছি গ্রামের আমির ব্যাপারীর ছেলে সিরামিক ব্যবসায়ী উজ্জল(২৫) এবিষয়ে থানায় ডায়েরী দিতে ব্যর্থ হয়ে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিমর সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ করেছিল।
উজ্জল এর ভাষ্যমতে, গত সোমবার ঢাকা থেকে সৌহার্দ পরিবহনে রাত ১২টার সময় কুমারখলী স্ট্যান্ডে নেমে সেখানে তার জন্য অপেক্ষারত ছোট ভাই আজিজুর (২৩) মোটরবাইকযোগে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। তাদের বাইকটি উপজেলার আলাউদ্দিন নগর মোড় নামকস্থানে পৌঁছালে সেখানে পেট্টোল ডিউটিরত কুমারখালী থানার এসআই কাফী সংগীয় ফোর্সসহ তল্লশীর নামে পথরোধ করেন। এসময় পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী অভিযোগ তুলে থানায় নেয়ার উদ্দেশ্যে কিছু দুর গিয়ে বোর্ড অফিসের নিকট এক অন্ধকারে পিকআপ থামিয়ে ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। ওই পুলিশ সদস্য দুই ভাইকে বেদম মারধর শুরু করে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন।সূত্র অনলাইন মানবকণ্ঠ