৫ বছরে নির্মিত হল প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার!
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ আগস্ট ২০১৫ ইং, ১১:২৩ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ২২৭৬ বার পঠিত

মিস্ত্রি আতিক হাসান (২৮) জানান, চেয়ারটি ৭ ফুট ৬ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য। আর ৩ ফুট ১ ইঞ্চি প্রস্থ। ওজন ১০ মণ ১০ কেজি। প্রায় ২০ ফুট সেগুন, মেহগনি আর আকাশী কাঠ দিয়ে তৈরি হয়েছে এ আকর্ষণীয় চেয়ার। চেয়ারটি নাড়াচাড়া করতে ৮ জনের প্রয়োজন পড়ে। প্রতিদিন ২-৩ জন শ্রমিক ২-৩ ঘণ্টা করে কাজ করে চেয়ারটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে কেটে গেছে ৫ বছর। জাতীয় পতাকা, নৌকা, জাতীয় ফুল, হাতির শুঁড় আর নানা জাতের ফুল ঠাঁই পেয়েছে রাজকীয় এ চেয়ারটির কারুকাজে। এখন চলছে ঘষামাজা আর রং করার কাজ। এত সময় ক্ষেপণের রহস্য কিন্তু একটিই। চেয়ারটি যে প্রস্তুত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য।
চেয়ারটির মিস্ত্রি আতিক হাসানের বুকভরা স্বপ্ন আর প্রত্যাশা নিয়ে চোখ ধাঁধানো এই চেয়ার প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। কিন্তু কিভাবে এ উপহারটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাবেন তা জানা নেই তার। আর এ চেয়ারটি যদি প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ না করেন তা হলে তার দীর্ঘ স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর শ্রম বিফলে যাবে। চেয়ারটির কারুকাজে মুগ্ধ হয়ে অনেকেই দাম হাঁকিয়েছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ টাকা দাম উঠেছে। কিন্তু মিস্ত্রি আতিক হাসান তা বেচতে নারাজ।
তিনি আরো জানান, টুঙ্গিপাড়া, জাতীয় জাদুঘরসহ নানা স্থানে ঘুরেছেন নতুন করে তৈরিকৃত চেয়ারটির নকশার ধারণা নিতে। পেয়েও যান নকশার ধারণা। এরপর বাড়ি ফিরে কারিতাস থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে কাঠ সংগ্রহ করে কাজ শুরু করেন। কাজটি শেষ করার আগ পর্যন্ত রাত জেগে তাকে কাজ করতে হয়েছে। কারণ দিনের বেলায় তাকে কারখানা মালিকের কাজ করতে হয়।
আতিক জানান, এর আগে তিনি পরীক্ষামূলকভাবে একটি চেয়ার তৈরি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে দেয়ার জন্য, কিন্তু সেটি তার মনের মতো না হওয়ায় তা বিক্রি করে দেন। প্রায় ১ লাখ টাকা দিয়ে তা কিনে নেন সিলেটের শিল্পপতি আলহাজ্ব রাগীব আলী।
কুলাউড়ার দক্ষিণ হিঙ্গাজিয়া গ্রামের মৃত মো. রেনু মিয়ার ও আঙ্গুর বেগমের পুত্র আতিক হাসান। ২ বোন ও ১ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। আতিক জানান, প্রায় ১৮ বছর থেকে (কাঠ মিস্ত্রি) এ পেশার সঙ্গে জড়িত। তিনি ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মনে প্রাণে ভালবাসেন। বঙ্গবন্ধুকে জীবিত না দেখলেও তার বীরত্ব আর নেতৃত্বের গল্প শোনে তিনি মুগ্ধ।
তিনি জানান, দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আমার প্রিয় নেতার কন্যাকে আমার পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোন উপহার নিজ হাতে তৈরি করে দেয়ার। আর এ ভাবনা থেকেই তৈরি চেয়ারটি।
আতিক জানান, এর আগে তিনি পরীক্ষামূলকভাবে একটি চেয়ার তৈরি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে দেয়ার জন্য, কিন্তু সেটি তার মনের মতো না হওয়ায় তা বিক্রি করে দেন। প্রায় ১ লাখ টাকা দিয়ে তা কিনে নেন সিলেটের শিল্পপতি আলহাজ্ব রাগীব আলী।
কুলাউড়ার দক্ষিণ হিঙ্গাজিয়া গ্রামের মৃত মো. রেনু মিয়ার ও আঙ্গুর বেগমের পুত্র আতিক হাসান। ২ বোন ও ১ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। আতিক জানান, প্রায় ১৮ বছর থেকে (কাঠ মিস্ত্রি) এ পেশার সঙ্গে জড়িত। তিনি ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মনে প্রাণে ভালবাসেন। বঙ্গবন্ধুকে জীবিত না দেখলেও তার বীরত্ব আর নেতৃত্বের গল্প শোনে তিনি মুগ্ধ।
তিনি জানান, দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আমার প্রিয় নেতার কন্যাকে আমার পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোন উপহার নিজ হাতে তৈরি করে দেয়ার। আর এ ভাবনা থেকেই তৈরি চেয়ারটি।